অসহ্য অমানুষিক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকা যায়...
টক্সিক প্যারেন্টস এর আন্ডার এ যারা বড়ো হয তাদের ডিপ্রেশন জীবনের সাথে জুড়ে যায়। দিনরাত যারা মারধোর খায় গরু ছাগলের মতো পড়ে পড়ে, মেন্টালি টর্চারড হয় তাদের যন্ত্রণা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়, হাসিমুখে কথা বলতে হয়।তারাও কারো মুখ চেয়ে স্যুইসাইড অ্যাটেম্পট করে কিন্তু মরতে পারে না, তারাও স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে, তারাও ভালোবাসতে জানে, তারাও আগলে রাখতে জানে। এরা যদি আবার সহজ সরল হয় তো কথাই নেই, সারাজীবন ধরে ট্রমাটাইজ হয়ে যায়, রুডলি বিহেভিয়ার করতে থাকে, নিজের প্রতি কেমন অবহেলা করে যায়, খাওয়া ঘুম ভুলে যেতে থাকে। ভুলে যেতে থাকে ভালোবাসা ছাড়া বাঁচা যায় না, কাউকে ভালো লাগলেও, ভালোবাসলেও বলে না। কারণ এরা দিনরাত টস্কিক রিলেশন দেখে দেখে ভুলে যায় এসব নিয়ে ভাবতে। এরা আসলে নিজেকে ভুলে যায়....
এরা দিনরাত লড়ে যায় নিজের সাথে,টস্কিক পরিবারের সাথে, টস্কিক আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশীর সাথে। হেরে যায় বারবার মুখ থুবড়ে পড়ে আবারও ওঠে কিন্তু এদের জেতা আত্মবিশ্বাস ভাঙে বলে এরা একাই রয়ে যায় দিনশেষে অসম্পূর্ণ স্বপ্ন নিয়ে, কিছু করার ইচ্ছে নেয়। কেউ হারিয়ে যায় সব শেষ করে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে, আবার কেউ বেঁচে থাকে মৃত মানুষের মতো মলিন হাসিমুখে ছদ্মবেশে। এরা শখ আহ্লাদে ঢাকে দুঃখের মেঘের দিন, এরা চোখের জল লুকোয় সানগ্লাস এ, আদতে পরিণত হয় যন্ত্রমানব এ। এরা হচ্ছে আসল অভিনেতা যাদের জীবন কেবল দুঃখের জয়মালা পরিয়ে পুরস্কৃত করে। যন্ত্রণায় কাতরে কাতরে মরে যায় তবুও এরা একটা মানুষ পায় না পাশে, কাঁদে আবার কাজ করে রোজকার মতন। এদের লোকে ভুল বুঝে বন্ধুত্ব ভেঙে দেয়,সম্পর্ক ভাঙে। এরা তবুও ভালোবাসা বিলোয় বন্ধুত্বের আকারে, ভালোবাসার ভাইবোনদিদি দের। বেহায়া এরা,কাঙাল এরা শুধু ভালোবাসার জন্য, একটু দুদন্ড শান্তি পাবে বলে। এরা অন্যের জন্য করে করে নিজের প্রতি আস্হা, ভরসা, ভালোবাসা বিশ্বাস সব হারিয়ে একসময় নিজের অস্তিত্ব ভুলে যায়। এরা একা ভাঙনের দায়ভার কাঁধে তুলে চলতেই থাকে রানারের মতো.... যার শেষ মৃত্যুর পরই।
©মেহুল শুনি
Comments
Post a Comment