মায়ায় জড়ানো সহজ,মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে বেরোনো কঠিন।।
মায়া শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত, বস্তু বা ব্যক্তির পাশাপাশি তাদের সাথে জুড়ে থাকা মুহুর্তের মায়ায় পড়ে থাকি, এমনকি কোনো স্থানের মায়ায় জড়িয়ে পড়ি কখনো কখনো,প্রকৃতি বা ঐশ্বরিক প্রেমের মায়ায় জড়ালে মুক্তি সম্ভব কিন্তু জাগতিক বস্তু বা ব্যক্তি অথবা তা সম্পর্কিত যেকোনো ধরণের বিস্তৃত আবহমান মুহুর্তের মায়ায় জড়ালে কষ্ট পেতে হয়।
কাউকে ভালোবেসে তার সম্পূর্ণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি তাকে ঘিরে থাকা সমস্তকিছুর মায়ায় জড়ালে পরে বিচ্ছেদ বা দূরত্বের কারণে এক দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ে জীবনে, বিরাটাকার শুন্যতার পরিসর সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীকালে যতই সম্পর্কে জড়ানো সহজ হয় না আর হলেও ভোলা অসম্ভব হয়ে পড়ে, কোনো না কোনো সময় হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায়, তখন অস্বীকার করলেও অস্বস্তিকর অনুভূতিকে এড়ানো যায় না। অথচ নৈসর্গিক প্রকৃতি প্রেমে পড়লে এসব কোনোকিছু হয় না,বরং অদ্ভুত ভালোলাগার আবহে শান্তি অনুভব হয়। তার মধ্যে থেকে বের হয় লুকোনো তিক্ততাপূর্ণ অভিজ্ঞতার ফসলের প্রতিরূপের ছবি।ঐশ্বরিক প্রেমে ব্যক্তিসত্তার সংকীর্ণতার সীমানা পেরিয়ে পরমাত্মার সাথে মিলন ঘটে এবং মুক্তির সন্ধানের যাত্রা পরিসমাপ্তির সূচনা হয় এবং সে পরম তৃপ্তিকর আনন্দ লাভ করে।।এভাবেই বিভিন্ন ধরনের মায়ায় ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল লাভ হয় ও ণার সম্পর্কে ব্যক্তিবিশেষের অভিজ্ঞতা অর্জিত হয় এবং জ্ঞানের জগত সমৃদ্ধ হয়।।
©মেহুল শুনি
Comments
Post a Comment